জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহ সাধুপুর জমশের আলী মুন্সি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী মনির হোসেনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-ম্যানেজিং কিিমট এবং এলাকাবাসি। মানববন্ধনের এক ঘন্টার মধ্যে ঘটনার মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১২ মার্চ দুপুরে সাধুপুর জমশের আলী মুন্সি উচ্চ বিদ্যালয় (জেএম) মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে ৫নং চর সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর সাধুপুর-৫নং চর সদর রাস্তায় ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধন চলাকালে হামলাকারিদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবির শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন-জেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রকিবুল ইসলাম মাসুদ, তারেক রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আ: জলিল মেম্বার, ইউপি সদস্য ছামিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী পারভেজ, কারিমুল ইসলাম, শান্ত, নুপুর আক্তার, আশেক মাহমুদ, জুয়েল মিয়া, আহত মনিরের বাবা জাহুরুল ইসলাম খলিফা, বোন স্মৃতি আক্তার, ফুফু জামিরন, নয়ানগর ইউনিয়ন তাতী দলের সভাপতি আমিনুর ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৮ মার্চ সকালে সাধুপুর টিকাদারপাড়ার মোফাজ্জল খলিফার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের (৩৫) কাছে স্বগোত্রীয় আবুল হোসেনের ছেলে মানিক খলিফার (৩৭) পাওনা টাকা আদায় নিয়ে হট্রগোল হয়। এলাকাবাসি এগিয়ে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। এ ক্ষোভে ওই দিনগত রাতে তারাবি নামাজের জন্য পাওনাদার মানিক খলিফার দুই ভাতিজা এসএসসি পরিক্ষার্থী মনির হোসেন (১৬) এবং পারভেজ (১৫) মসজিদে যাবার পথে মোবাইল রিচার্জের জন্য শফিউল্লাহর বাড়িতে যায়। এ সময় দেনাদার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার লোকজন মিলে তাদেরকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। একপর্যায়ে এসএসি পরিক্ষার্থী মনির হোসেনকে ইটদিয়ে আঘাত করে মাথা থেতলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে মনিরের মা মনোয়ারা বেগম (৪৫) এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করেছে। এ পরিস্থিতিতে আরো ৬জনকে আহত করেছে।
এদের মধ্যে আশংকাজনক আবস্থায় আহত মনির হোসেনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে এবং মা মনোয়ারা বেগমকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই আব্দুল্লাহ আল মামুন পক্ষের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন-এ ঘটনায় মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। জামালপুর থেকে প্রধান আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। #